
নিজস্ব প্রতিবেদক
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন,
আমাদের দেশে এখনো কোনো বন্দর আন্তর্জাতিকভাবে গড়ে ওঠেনি। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরও আন্তর্জাতিক কানেকশনের দিক থেকে পিছিয়ে। তবে আমরা নতুন করে গড়ে ওঠা পায়রা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের একটি গ্রিন পোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
রোববার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালাটি আয়োজন করে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (পিপিএ)।
⚓ পায়রা বন্দর নিয়ে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন,
“ড্রেজিংয়ের জন্য বন্দরের ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দুটি ড্রেজার দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি বন্দরের জন্য ক্রেন সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য হলো—টেকসই ও পরিবেশবান্ধব একটি বন্দর গড়ে তোলা।”
তিনি আরও জানান,
“ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দরের রাস্তাকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। রেলসংযোগ স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও চলমান রয়েছে।”
📋 মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ
কর্মশালায় পিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল স্বাগত বক্তব্য দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাচ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি-এর দলনেতা ও আন্তর্জাতিক বন্দর বিশেষজ্ঞ মি. মেনো মুইজ।
🎓 বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কারা ছিলেন?
বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইসতিয়াক আহমেদ মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দলনেতা হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক তথ্য উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় অংশ নেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বরিশাল বিভাগ ও পটুয়াখালী জেলার প্রশাসনিক প্রধানরা।
এছাড়াও দেশের খ্যাতিমান ব্যবসায়ী নেতা, বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজন এবং গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন