Breaking News
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

উলিপুরে বিশাল গণজমায়েত অনুষ্ঠিত

মোঃ মাইনুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

শনিবার ২৬ শে অক্টোবর ২০২৪ দুপুর ২ ঘটিকায় কুড়িগ্রাম জেলা উলিপুর উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে এক বিশাল গণজামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি বৈঠার নির্মম আঘাতে সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের ২৬জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ক্ষুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি।

রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর। ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায় রচিত হয়। চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি বৈঠা দিয়ে তরতাজা তরুণদের পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা। এ নির্মম হত্যাকান্ড ও পাশবিকতায় কেঁদেছে বাংলাদেশ,কেঁদেছে বিশ্বমানবতা। জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। শুধু হত্যাই নয়,মৃত লাশের উপর নৃত্য করার দৃশ্যও প্রত্যক্ষ করে বিশ্ববাসী।

এটা শুধুমাত্র নৃশংস হত্যাকান্ডই নয়,এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক পথ চলা ব্যাহত হয়,ঘটে ব্যত্যয়। সর্বত্র বিচার হীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার শ্লোগান দেখা গেলেও এই নির্মম ঘটনার বিচার হতে দেখেনি দেশবাসী। আটাশ অক্টোবর বাংলাদেশের ইতিহাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের এক কলংকজনক দিবস।

পুরো মামলাই প্রত্যাহারঃ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাদের দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভাকাংখীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু সাঈদ জনস্বার্থে পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসককে একটি পত্র দেয়। ১৭ আগস্ট আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে।

আইন অনুযায়ী যেকোন হত্যা মামলা বাদীর সম্মতি ছাড়া প্রত্যাহার করার সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও মহাজোট সরকার তাই করেছে। আইন বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, কোন হত্যাকাণ্ডের মামলাই রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করার সুযোগ নেই। যদি কোন ব্যক্তিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত করা হয়েও থাকে তদন্ত শেষে আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।