Breaking News
জুলাই ৩১, ২০২৫

উলিপুরে জমি বিরোধের জেরে রক্ত খয়ি সংঘর্ষ, আহত ১২, জন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তৃতীয় পক্ষ সহ পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২,টার দিকে উলিপুর উপজেলা দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গোড়াই শ্যামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাশিদা বেগম এবং আব্দুল হামিদ বলেন যে দীর্ঘদিন ধরে রফিকুল এবং শফিকুলের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বিরোধ চলছে,আমাদের নিজেদের জায়গায় এটি টিনের বেড়ার কাজ সম্পন্ন করি। আর এরই মধ্যে আজ হঠাৎ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে আমাদের তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে তাদের হয়তো কেউ ৯৯৯-এ ফোন দিলে তৃতীয় ব্যক্তি সাদ্দাম সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
পুলিশ এসে জানান উভয় কেউ কোন ধরনের দ্বন্দ্বে জড়াবেন না যেহেতু আপনাদের নিজেদের মধ্যে জমা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব তাই বসে সমাধান করে নিবেন।
তবে পুলিশ চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তি নেতৃত্বে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং হামলা চালায়।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও শাহাজাহান ও তার পরিবারের লোকজনদেরকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় নামে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে তাদের কোন শত্রুতা নেই তারা কেন বারবার আমাদের ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করে আমরা জানিনা। তবে আমারা এতটুকু জেনেছি আমার বিপক্ষ গুরুপ যাদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কিছু জমি আছে যাতে অল্প কিছু দামে নিতে পারে এজন্য তাদের হয়ে কাজ করছে।

ভুক্তভোগীরা হলেন মো: নুর হোসেন (৬০), আসাদুল (৩০), কুদ্দুস (৫০), ফারুক (৩৬), আব্দুল হামিদ (৬০) সহ আরও কয়েকজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হামলাকারীরা স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ পরিবারের সঙ্গে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরকম এর আগেও শাহজাহান এবং তার পরিবারের কয়েকজন তৃতীয় গুরুপ হয়ে পরের ক্ষতি সাধনে নিজের সুবিধা হাসিল করে। এসব হামলাকারীরা তথাকথিত ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর’ আওয়ামী লীগের পরিবার হিসাবে অনেক টাই পরিচিত।
তাই আমরা মনে করি এরকম সুবিধাবাদী লোককে দলের কোন পদ তো দূরের কথা সদস্যের পাতায় তাদের নাম রাখা ঠিক হবে না। আমাদের পরিবারের কেউ কোন দলে সঙ্গে জড়িত না থাকায় তারা প্রায় সময় আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
তাই আমরা নিরীহ পরিবার হওয়ায় আমাদের জনবল না থাকায় আমরা তাদের সঙ্গে পেরে উঠবো না। তাই আমরা তাদের সঙ্গে কোন সময় ঝগড়া বিবাদে জড়াতে চাই না। কিন্তু তারা বারবার আমাদের উপর উপচে পড়ে।
ফারুক হোসেন জানান আমি এবং আমার পরিবারের সকলের জান মালের রক্ষার জন্য প্রশাসনে সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অবগত আছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *