
ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন। তিন বছর মেয়াদি এ মিশন চালুর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে তিনি একটি পোস্ট করেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, এদেশে জাতিসংঘের আঞ্চলিক অফিস কেন?
তিনি উল্লেখ করেন, যেসব দেশে তাদের আঞ্চলিক দপ্তর রয়েছে, সেসব দেশের জনগণ কি সেখানে শান্তিতে আছেন?
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শান্তি আর মানবাধিকার রক্ষায় আমরা নিজেরা পারস্পরিক বোঝাপড়া মজবুত না করলে, তারা এখানে কি করতে পারবে?
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসারের লক্ষ্যে বাংলাদেশে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের ওএইচসিএইচআর-এর মধ্যে একটি তিন বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশে একটি মিশন কাজ করবে, যার মূল উদ্দেশ্য হবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে জবাবদিহিতা ও সংস্কারের ধারাবাহিক অঙ্গীকার হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মিশনটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে সংঘটিত অপরাধসমূহের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়েই কেন্দ্রীভূত থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণাগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের কিছু মহলে উদ্বেগ রয়েছে। তবে জাতিসংঘ বাংলাদেশে কাজ করার সময় দেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই অংশীদারত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে, যার মাধ্যমে দেশের প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালী হবে এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।