Breaking News
জুলাই ১৯, ২০২৫

মাদক ব্যবসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মা-ছেলের ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

মোঃ মাইনুল ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম পৌরসভার পাওয়ার হাউজপাড়ায় মাদক ব্যবসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক নারী ও তার ছেলের ওপর বর্বর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অপবাদ ছড়ানো এবং পরে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। থানা সূত্রে জানা যায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোছাঃ শাহেদা বেওয়া (৪০) ও তার ছেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য আসলে রাজু ও তার কয়েকজন গুন্ডাবাহিনীকে কে নিয়ে থানা সামনে হাজির হয়ে মা ও ছেলেকে হুমকি দেয় আর এ ব্যাপারে ওই সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসআই তাদেরকে গ্যামজেন করতে মানা করলে একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পড়ে স্বাভাবিক হওয়ার পর সেখান থেকে চলে যায়।

এরপর শাহেদা বেওয়া ও তার ছেলে সাজু মিয়া কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজু মিয়া (৪২) শাহেদা বেওয়ার বড় ছেলে মোঃ সাজু (২৮)-কে মাদক বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, রাজু মাদক সংগ্রহ করবে আর সাজু তা বিক্রি করবে। কিন্তু সাজু তার মাকে বিষয়টি জানালে মা শাহেদা বেওয়া কঠোরভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং ছেলেকে মাদক ব্যবসা থেকে বিরত রাখেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজু মিয়া নিজের ফেসবুক আইডি থেকে শাহেদা বেওয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে “মাদক ব্যবসায়ী” বলে অপবাদ ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানার পর ১৬ জুলাই দুপুর ১টার দিকে শাহেদা বেওয়া তার দোকানের সামনে রাজু মিয়াকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে গালিগালাজ শুরু করে।

প্রতিবাদ করায় রাজু মিয়াসহ তার সহযোগীরা—আজাদ (৪৫), আলম (৫০), আছমা বেগম (৪০)—এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে শাহেদা বেওয়াকে মারধর করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।

এ সময় তার ছোট ছেলে মোঃ ওসমান গনি রাজা (২৩) মাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে জখম করে। ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা ছুটে এসে মা ও ছেলেকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শাহেদা বেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেছেন মোঃ মুরাদ মিয়া (৩৪), মোছাঃ সুমী বেগম (২৮), ও মোঃ মিলন মিয়া (৪২)-এর নাম।

আহতরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এতে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এলাকাবাসী দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *