চলে গেলেন কুড়িগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু

মাইনুল ইসলাম,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের খবর গণমাধ্যমে তুলে ধরা কুড়িগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। প্রয়াত মমিনুল ইসলাম মঞ্জু সর্বশেষ এখন টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি একুশে টেলিভিশন, সিএসবি টেলিভিশন এবং সময় টেলিভিশনে কাজ করেন। কুড়িগ্রামের ছিটমহল সংকট, নদী ভাঙন, বন্যা এবং কৃষিভিত্তিক সংবাদ তৈরিতে তার বিশেষ দক্ষতা ছিল। কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই সিনিয়র সাংবাদিক। মমিনুল ইসলাম মঞ্জু বেশ কিছুদিন যাবত ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। সবশেষ তিনি ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি তিন সন্তান, অসংখ্য অনুজ সহকর্মী এবং অজস্র গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মমিনুল ইসলাম মঞ্জু ছিলেন অনেক সাংবাদিকের শিক্ষক, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সময় টেলিভিশন, সমকাল,দৈনিক সংবাদ সহ সর্বশেষ এখন টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম মঞ্জু (৭০) ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুস সহ নানা রোগে ভুগছিলেন। তাঁর নামাজে জানাজা ১৭ জুলাই ‘২৫ রোজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর শহরের নিজ বাসভবন সংলগ্ন মুন্সী পাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং ৫.৪৫মিনিটে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে । ইতিপূর্বে তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তিন পুত্র সহ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মমিনুল ইসলাম মঞ্জু ১৯৭২সালে রিভার ভিউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। মমিনুল ইসলাম মঞ্জু ১৯৭৪ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার মাধ্যমে কুড়িগ্রামে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে থানা আনসার এ্যাডজুডেন্ট হিসেবে বেশ কয়েক বছর কর্মরত থাকার পর পুনরায় সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এখন টিভিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুক্তকন্ঠ, ইটিভি, সমকাল, সময় টিভি সহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেছেন। তাছাড়া কুড়িগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ সহ অনেক গ্রন্থের রচয়িতা। তাকে তথ্যের ভাণ্ডার বলা হতো। তার পিতা অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম একজন ভাষা সৈনিক। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। তার মৃত্যুকে শোকাহত কুড়িগ্রাম জেলার সাংবাদিক অঙ্গন । মমিনুল ইসলামের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকার বন্ধুবান্ধব, আত্নীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *