Breaking News
জুলাই ২৪, ২০২৫

পটুয়াখালী পৌরসভার ভূল সনদে নিয়োগ ও সরকারি অর্থ আত্মসারঃ সাবেক মেয়র সহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার কাওসার হোসেন মুন্না

পটুয়াখালী পৌরসভায় ভুয়া সনদ ব্যবহার করে অবৈধ নিয়োগ ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), পটুয়াখালী থেকে মামলা নং-০৩, তারিখ-১৫ জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে মামলাটি দায়ের করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেয়র থাকাকালীন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার মাধ্যমে দুইজন অযোগ্য প্রার্থীকে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন।


এর মধ্যে সহকারী অ্যাসেসর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. দেলোয়ার হোসেনের প্রদর্শিত স্নাতক ডিগ্রির সনদ ছিল দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরপুর ক্যাম্পাস থেকে, যা সরকারের তালিকায় অবৈধ ঘোষিত। ওই অবৈধ সনদের ভিত্তিতে তিনি চাকরি পান এবং দীর্ঘদিন দায়িত্বে থেকে আঠাশ লাখ বাষট্টি হাজার তিনশ চব্বিশ টাকা (২৮,৬২,৩২৪) আত্মসাৎ করেন।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সুমন হাওলাদার ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্র, যেখানে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস প্রার্থী চাওয়া হয়েছিল। অযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন মেয়রের সুপারিশে তিনি নিয়োগ পান এবং দায়িত্বে থেকে পঁচিশ লাখ একাশি হাজার পাঁচশ সাতত্রিশ টাকা (২৫,৮১,৫৩৭) আত্মসাৎ করেন।

সবমিলিয়ে এই দুই অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের চুয়ান্ন লাখ তেতাল্লিশ হাজার আটশ একষট্টি টাকা (৫৪,৪৩,৮৬১) আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনজন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮৬০ সালের ১০৯, ৪০৯ ও ৪২০ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে অন্য কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পটুয়াখালী পৌরসভার এই দুর্নীতির মামলাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় সুশীল সমাজ এবং নাগরিকরা দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *