
স্টাফ রিপোর্টার, বাহাদুর আবির
‘নাটক’একটি শব্দ হলেও এর গভীরতা বিশাল। নাটক কখনও কাঁদায়, কখনও হাসায়, আবার কখনও দর্শকের হৃদয়ে তৈরি করে স্থায়ী ছাপ। ঠিক তেমনই একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক হলো ‘ফাউল জামাই’। সম্প্রতি নাটকটির ১০৯তম পর্বে ঘটে গেল এক নাটকীয় ট্র্যাজেডি খুন হলেন নাটকের প্রাণপ্রিয় চরিত্র বাবু, যিনি দর্শকদের কাছে বেশি পরিচিত ছিলেন ‘বেদানার প্রেমিক’ কিংবা ‘বরিশাইল্লা বাবু’ নামে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা “সাদ্দাম মাল”।
‘ফাউল জামাই’ নাটকটি রচনা করেছেন আল আমিন স্বপন এবং পরিচালনায় ছিলেন তাইফুর জাহান আশিক। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শরাফ আহমেদ জীবন, আব্দুল্লাহ রানা, আশরাফ সুপ্ত, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, তানহা তাসনিয়া, রোবেনা রেজা জুঁই, নওশিন দিশা।
এছাড়া এই নাটকে অভিনয় করেছেন পটুয়াখালীর জনপ্রিয় দুই অভিনেতা এস এম আলমাস এবং মাসুদ পারভেজ সাগর।
সাদ্দাম মাল তার চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মধ্যে হাসি, প্রেম, রাজনৈতিক স্যাটায়ার সবকিছুর এক অপূর্ব মিশ্রণ তুলে ধরেছেন। দর্শকদের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তার মূল সার্থকতা ছিল। তবে ১০৯তম পর্বে ‘বাবু’ চরিত্রের আকস্মিক মৃত্যু নাটকে এক নতুন মোড় আনলেও অনেক দর্শকের হৃদয়ে দাগ কেটেছে।
‘ফাউল জামাই’ নাটকের নিয়মিত দর্শক এস.এম. সোহান বলেন, “নাটকটি আমার অন্যতম প্রিয়। বিশেষ করে সাদ্দাম মাল এর অভিনয় নাটকটিকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। তার চরিত্রে হাসি, প্রেম, রাজনীতি সবই ছিল। তবে ১০৯ পর্বে তাকে খুন না দেখিয়ে অন্যভাবে চরিত্রটি পরিচালনা করা যেত। এ দৃশ্য যখন দেখছিলাম তখন আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি।”
অনেক দর্শকই বাবু চরিত্রের মৃত্যু নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ বলছেন, সাদ্দাম মাল এর মতো প্রতিভাবান একজন চরিত্রকে আরও দীর্ঘ সময় ধরে নাটকে রাখা উচিত ছিল।
‘ফাউল জামাই’ নাটকটি যেভাবে মানুষের হৃদয় জয় করে চলেছে, তাতে বোঝা যায় একটি নাটক শুধু বিনোদনই নয়, দর্শকের আবেগ ও অনুভূতির সাথেও গভীরভাবে জড়িয়ে যায়।