
খান মেহেদী :- সাম্প্রতিক সময়ে একটি কুচক্রী মহল ও চিহ্নিত ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২, ঢাকা এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবুল বাশারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে আবুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, আমি সরকারের একজন সামান্য কর্মকর্তা। আমি ২০০৬ সালে চাকরি জীবন শুরু করি। যে সরকার তখন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ছিল, তার নির্দেশনা মেনেই আমি সর্বদা আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। যদিও কিছু সময় পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি, যার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ সময় ঢাকার বাইরে কর্মস্থলে থাকতে হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি কখনো কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হইনি। বরং সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করে এসেছি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বিগত ১৯ বছরের চাকরি জীবনে আমি কখনো ভালো পোস্টিং পাইনি, যেখানে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকতো। তবুও, আমি আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছি।
আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বাকেরগঞ্জ থানাধীন ৭নং কবাই ইউনিয়ন বিএনপির বহিস্কৃত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ মিঞা ।
তিনি বলেন, আমার পিতা মো: আলী হোসেন হাওলাদারের ১৯৯৪ সালের প্রতিষ্ঠিত ইটভাটাকে কেন্দ্র করে অবৈধ আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শত্রুতার কারণে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ পত্রের মাধ্যমে ও দলীয় প্যাড ও পদ-পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিভ্রান্তিকর,মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।যাহা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ।
উল্লেখ্য যে, আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় প্রায় ১৫টি জিআর মামলা রয়েছে এরমধ্যে ৫ ই আগস্ট এর পরে চাঁদাবাজি লুটতরাজ অগ্নিসংযোগ করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং কোটি টাকার অন্যর সম্পত্তি নষ্ট করেছে। গত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তার বোন-বোনজামাই ও ভাগিনার বরিশাল শহরের সাদিক আব্দুল্লাহর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার পিতার জিগজ্যাগ ইটভাটা দুইবার ভেঙে ফেলে। এছাড়াও এলাকার বহু মানুষের ক্ষতি করেছে।
আব্দুল কুদ্দুছ মিঞার বিষয়ে ইতিমধ্যে বরিশাল বিএনপির হাইকমান্ড’কে আমি জানিয়েছি,বরিশাল বিএনপির হাইকমান্ড দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে তাকে গত ২০ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে দলের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাশারের পৈতৃক বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ কলসকাঠি ইউনিয়নে সেই সুবাধে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো কিনা তা জানতে কলসকাঠী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আল আমিন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোঃ আবুল বাশার একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও বিএনপি পরিবারের সন্তান।
বরিশালের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদল বরিশাল মহানগর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ জিএম আতায়ে রাব্বির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাশার বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অধ্যায়নরত ও পরবর্তীতে আমার সাথে ছাত্র রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।
বরিশাল বিভাগ, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, আকন কুদ্দুসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মোঃ আবুল বাশার একজন আদর্শিক জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দল বিএনপির প্রতি অনুগত থেকে বিশ্বাস ও আস্থার সাথে তার নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন।ভবিষ্যতে আবুল বাশার কে দলের প্রয়োজনে কাছে পাবে আমি বিশ্বাস করি।