Breaking News
জুলাই ২৩, ২০২৫

উলিপুর উপজেলা বুড়াবুড়ী ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের। এলাকায় তোলপাড়

উলিপুর উপজেলা বুড়াবুড়ী ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের এলাকায় তোলপাড়

মোঃ মাইনুল ইসলাম,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের ন্যালোরগ্রামে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উলিপুর উপজেলাধীন বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের ন্যালোর গ্রাম ফকির মোহাম্মদ এলাকার বাসিন্দা তমিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সহিত বিবাদী মোঃ শফিকুল ইসলাম (২০), মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৫), উভয় পিতা-মোঃ আঃ মজিদ, মোঃ আবু সাঈদ (৪০), পিতা-মৃত কাশেম আলী, মোঃ রাশিদুল ইসলাম (২৮), পিতা-মোঃ হাছেন আলী, মোঃ আবু সিদ্দিক (৫৫), পিতা-মৃত আজাহার আলী, মোঃ ছকিয়ত উল্লাহ ছকু (৩২), পিতা-মোঃ আঃ সামাদ, মোঃ রাজু মিয়া (২৮), পিতা-মোঃ আঃ মমিন, সর্ব সাং-ফকির মোহাম্মদ ন্যালোরগ্রাম, ইউপি-বুড়াবুড়ি, থানা-উলিপুর, জেলা-কুড়িগ্রামগনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় বাদীর একটি মামলা চলমান রয়েছে, যার মামলা নং-২২৯/২৪। মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন থাকায় মামলাটি করার পর বিবাদীগন বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিনে আসিয়া আরো ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে এবং বাদীকে মামলাটি তুলে নেওয়ার চাপ সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে আসছে।

গত ১৬/০৬/২৫ ইং তারিখ রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় বাদী স্থানীয় বুড়াবুড়ি বাজারের জনৈক মোঃ মাইদুল ইসলাম এর মুদির দোকানের সামনে গেলে উপরোক্ত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বাদীকে দেখিয়া এক এক করে তথায় আসিয়া বাদীকে সহ বাদীর পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি উত্তোলন করে নেওয়ার কথা বলে। বাদী বরাবরের মত বিবাদীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি উত্তোলন করে নিতে অস্বীকার করলে বিবাদীগন বাদী শফিকুল ইসলামকে মারপিট করার চেষ্টা করে। ঐ সময় আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে বিবাদীগন বাদীকে মারতে না পারিয়া পরবর্তীতে বাদীকে কিংবা বাদীর পরিবারের সদস্যদের রাস্তায় পথে একা পাইলে মারপিট করাসহ খুন জখম করবে কিংবা বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলায় ফেলিয়া জেলের ভাত খাওয়াইবে মর্মে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনার সাক্ষী (১) মোছাঃ শাহেরা বেগম, (২) মোঃ ফজলুল হক, (৩) মোছাঃ হাপিনা বেগম, (৪) মোঃ জেহের আলী বলে বাদী শফিকুল ইসলাম জানায়। এই ঘটনার পর বাদী শফিকুল ইসলামের পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। অপরদিকে বাদী শফিকুল ইসলামের করা অভিযোগে অভিযুক্ত রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম জানায়, আমি অন্তসন্ধা একজন মা। আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে আসামি মোঃ শফিকুল ইসলাম গত ২৫/০৫/২০২৪ তারিখ রাতে বাড়ীতে প্রবেশ করে আমাকে ডাকে। আমি সরল মনে ঘর থেকে বের হলে হটাৎ গামছা দিয়ে আমার মুখ বেঁধে পাশের টিনের ঘরে নিয়ে যায় এবং আমার সম্ববহানির চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে রফিকুল ও আনোয়ারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে আমার স্বামী আমাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে। তখন থেকে আমি আমার বাবার বাড়ীতে আছি। পাওনা টাকা ও সম্ভবহানির মামলা উলিপুর থানায় করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আমাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করতে বলে। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছি। বিষয়টি ইতোমধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দুজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক বিয়ে দেখা যায় মেয়েটি তার অভিযোগের পর থেকে স্বামীর সংসার করে আসছে। তার দেয়া অভিযোগ যে স্বামী আমাকে নিয়ে সংসার করবে না এমন অভিযোগ মিথ্যে এবং বানোয়াট বলে জানাযায় স্থানীয় কয়েকজন লোকের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *