Breaking News
জুলাই ২৪, ২০২৫

বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে দুর্গাপুরে কোরবানির হাট

মাইনুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কোরবানি ঘিরে দুর্গাপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে গবাদি পশুর হাট। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী তাই বড় গরু নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ব্যাপারীরা।

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কোরবানি ঘিরে দুর্গাপুর হাটে জমে উঠতে শুরু করেছে গবাদি পশুর হাট।

শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে থেমে থেমে ঝিরিঝিরি ও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বইছে দমকা বাতাস। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও এদিন গোদাগাড়ীর দুর্গাপুর হাট ঘুরে দেখা যায়,  কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু। বিকাল ৫,টা পর্যন্ত।

ছোট-বড়-মাঝারি আকারের গরু, কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। এদিন সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাটের আশেপাশেও  গরু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ক্রেতারা।

হাটে ক্রেতা আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কিছুটা কম। অধিকাংশই দেখেছেন, যাচাই করছেন দাম।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ছোট আকারের দুই থেকে চার মন ওজনের গরু, বিক্রি হয়েছে ৬০,০০০ হাজার থেকে ১ লাখ১০,থেকে ২০, হাজার টাকার মধ্যে। মাঝারি আকারের চার থেকে ছয় মন ওজনের গরুর দাম, ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। ছয় থেকে ১০ মন ওজনের গরু, ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে বিশাল আকারের গরু এই বাজারে তেমন ছিল না।

উলিপুর উপজেলা দুর্গাপুরের ইউনিয়নের সরদার পাড়া গ্রামের মো: রফিকুল মেম্বার জানান, বাজারে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। যারা ছোট গরু বাজারে এনেছেন তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিক্রিও কম। খুব বেশী লাভ হচ্ছে না।

একই ইউনিয়নের মিলনপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ বলেন, পশু পালনে খরচ বেড়েছ। কিন্তু সে তুলনায় মিলছে না দাম। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত বছর ২ হাজার টাকায় যে খড় পাওয়া যেত এবছর তার দাম অনেক বেশি। ভূষি, খুদ, গুড়ার দামও প্রায় আগের তুলনায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। খরচ বাড়লেও গরুর দাম আগের মতোই।

ভেলুর খামার গ্রামের খোরশেদ আলম এর ভাষ্য, বৈরি আবহাওয়ার জন্য ক্রেতা কম। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যারা বড় বড় গরু কিনতেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে তাদের বেশিরভাগ পলাতক। ফলে বাজারে গরু বেচাকেনা কম। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। এ কারণে বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

মিজানুর নামের এক ব্যাপারী বলেন, যারা পলাতক তারা অনেক টাকার মালিক ছিল। অনেকগুলো কোরবানি দিত। বড় থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও গরু কিনত। সেই অংশটা বাজারে না আসায় আনন্দের কেনা কাটা নেই।

ক্রেতা মতিন মিয়া জানান, সবাই এক ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বড় অংকের টাকা খরচ করতে চাচ্ছে না। ফলে আগের মতো জমজমাট বাজার এখনও শুরু হয়নি।

গোড়াই হাটের আশরাফুল বলেন, ‘ঘুরে ঘুরে গরু দেখছি। বাজেট আর পছন্দ মতো হলে তবেই কিনব।

হাটের শেয়ারদার আলহাজ্ব আবেদ আলী সরদার তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা যে এখনও স্থিতিশীল না, তার বড় প্রমাণ কোরবানি বাজার। কোনো হাটেই জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে না। বড় গরুর বিক্রি নেই বললেই চলে। বড় গরুর খামারিদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে শেষ দিকে গরু বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা এই শেয়ার দারের।

হাটের কর্তৃপক্ষ বলছেন,সরকারি সকল নিয়ম মেনে হাট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলেও জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *