
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বাকেরগঞ্জের ত্রাস ইউনুচ বাহিনীর বেপরোয়া সন্ত্রাসী তান্ডব আর নিরব চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে মধ্য গোমাবাসি। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, খেয়াঘাট, বালু মহলসহ সর্বত্রই চলছে তাদের দখল বাণিজ্য। হামলা-সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে লুটপাটের মহড়া চললেও কেউ ‘টু‘শব্দটিও করতে সাহস পাচ্ছে না।অভিযোগে সূত্রে জানাযায়, বাকেরগঞ্জে উপজেলার দু’ধল ইউনিয়নের গোমা এলাকার জনৈক আবুল কাসেম খানের বখাটে পুত্র ইউনুচ খানের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যার হত্যা মামলা সহ চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।তার নেতৃত্বে বিভিন্ন মাসুদ খান, শাহআলম খান, মো সুৃমন খান, সাহিন খান ও সাহিন সহ ১০/১৫জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।আর এই সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা কিসিমের অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। ইউনুচ বাহিনীর চুরি, ছিনতাই, জমি দখল বালু ব্যবসায় ঠেক দিয়ে চাঁদা উত্তোলন যেন নিত্যকার ঘটনা।এমনকি পরিবারিক বিরোধের পাতানো শালিসের নামে দু‘পক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায়, বালু ব্যবসায়ির বলগেট আটকে চাঁদা আদায়, জমিজমার বিরোধে টাকার বিনিময়ে দখল বাণিজ্য চালিয়ে আসলেও কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না। কেউ প্রতিবাদ করলেই তার ওপর নেমে আসে ওই সন্ত্রাসি বাহিনীর হুমকি-ধমকি ও নির্মম অত্যাচার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে জানান, সন্ত্রাসী ইউনুচ খা ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে তার জমি দখল করে নিয়েছে।হামলা-নির্যাতন ও সন্মানহানির আশঙ্কায় তাঁকে নিরবে সহ্য করতে হয়েছে। একই অভিযোগ ওই এলাকার সুন্দর আলী, রফিক মুন্সী, জসিম মৃধা, বজলুর রহমান হাং, জামাল হাং, সোহরাব মোল্লা, সাহাবুদ্দিন মৃধাসহ অনেকের। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এলাকাটির নিরীহ মানুষ ওই বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।সূত্র মতে জানা যায় যে, ৩বছর পূর্বে পূর্বশত্রুতার জেরে একই গ্রামের সুুন্দর আলীর ছেলেকে ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে বেধরক মারধর করে। মৃত ভেবে জঙ্গলের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় অভিযুক্ত ইউনুচের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের হয়। এর আগেও মাদক কারবারি, মারামারিসহ নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। একারণে ইউনুচ খা ৩বছর এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আত্মগোপনে ছিল। এছাড়াও ডা. সালাম খানের হত্যাচেষ্টা ও হাবিব মোল্লা নামের একব্যক্তিকে ছুরি ঠেকানোর অভিযোগ রয়েছে। ৫আগস্ট পরবর্তি সময় এলাকায় ফিরে পূর্বের ন্যায় চিহ্নিত নেশাসক্ত বখাটেদের সংঘবদ্ধ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। চক্রটির আর এক সদস্য সুমন খা ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই তার নিত্যকর্ম। জেলেদের জাল চুরি করতে গিয়ে ধরাও পরেছে। বাকিরাও নেশাসক্ত বলে জানা গেছে। ওই বাহিনীর ভয়ে নিরীহ মানুষ সবসময় তটস্থ থাকেন।ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি অবিলম্বে অভিযুক্ত ইউনুচ বাহিনীর অপতৎপড়তা দমনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া একান্ত দরকার। তাই তারা গোমার প্রত্যন্ত এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশসহ উর্ধতন কর্তপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি বাকেগঞ্জ সফিকুল ইসলাম জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তিনি কোন অভিযোগ পাইনি,তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।