
মোঃ মাইনুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
বাবা-মা, ভাই-বোন সংসার ছেড়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি । আজ সেই দেশে থাকতে পারি না কেন ? প্রায় গত ৪০ বছর পূর্ব থেকে আমার সঙ্গে অন্যায় অত্যাচার করছে একটি সন্ত্রাসী গং । আমার বাবার তেমন জায়গা জমি ছিল না। আমি ৩ বিঘা জমি কিনে বাবার নামে দলিল করি। পরবর্তীতে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার অজান্তে বাবার নামে খরিদ করা ৩ বিঘা জমি হানিফ উদ্দিন টাইগার গং বিক্রি করে এবং উক্ত জমি বিক্রির ৩দিন পরে আমার মা মারা যান। আমার মা রাত্রে মারা যান। দাফর হওয়ার কথা পরের দিন সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় কিন্তু হানিফ উদ্দিন টাইগার গং তারা হুরা করে হ্যারিকেন লাগিয়ে রাত্রে দাফন করে। পরের দিন আমার মামা তফুর উদ্দিন ধনি তার বোনকে মাটি দিবে বলে এসেছিল । কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা আমার বাড়ীতে উঠার আগে জানতে পারে রাত্রে মাটি হয়ে গেছে। শুনে মামারা আর আমার বাড়ীতে আসল না। তারা কেন এই কাজটি করল, আমি জানতে চাই। আমি কি এমন অপরাধ করেছি তার কারণে বার বার আমরা বাড়ীতে থাকতে পারি না। উপরোক্ত কথাগুলি গতকাল বুধবার কুড়িগ্রাম জজ কোর্টে মামলার হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস ছামাদ। তিনি সাংবাদিকদের কাছে আরো অভিযোগ করে বলেন, আমাকে ও আমার একটা আধ পাগল ছেলে স্ত্রীকে অন্যায় ভাবে বার বার ডাং মাইর করছে । সব চাইতে বড় কথা হল একজন ভারতীয় নাগরিক এবং সে একজন নারী পাঁচারকারী, সে আমার বাড়ী থেকে মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র চুরি করে নাম পরিবর্তন করে সে এখন মুক্তিযোদ্ধা ? বর্তমানে তার ৯ জন স্ত্রী। সে অনেক খুন খারাপির সাথে জড়িত। তার ভারতীয় প্রথম স্ত্রী ও সন্তান মদ-গাঁজার ব্যবসার সাথে একন পর্যন্ত জড়িত। এ দিকে আমার আদরের ছোট ভাই হানিফ উদ্দিন টাইগার এমন একটি মানুষ যে, নিজের ভাতিজার বউ ভাতিজিকে ধর্ষণ করার কথা বলে। টাইগারের অত্যাচারে আমার ছেলে ও ছেলের বউ প্রায় ২/৪ বছর হইতে বাড়ী ছাড়া। আমি আমার বাড়ী ঘরে পরিবারের লোকজনদের নিয়া বসবাস করিতে পারছি না। বাড়ী চালার জমি ওরাই ভাগ বন্টন করে বাড়ী করে আছে। আমাকে ভাগ দিল নিচু জায়গায় মাটি ভরাট করে বাড়ী করে আছি। গাছ লাগিয়ে ছিলাম । প্রায় ৮০ টি গাছ কেটে বিক্রয় করে আমার বাড়ী ঘর ভেঙ্গে ফেলে। বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে মারপিট করে আহত করে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকি। আমার ছেলের বউয়ের দ্বারা চোরা কারবারি করত। বাধা দিলে সবাই মিলে ধরে মারপিট করতো । বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস ছামাদ অভিযোগ করে বলেন , হানিফ উদ্দিন টাইগার গং দের মারের চোটে কারো বাড়ী প্রবেশ করলে সেখানে গিয়ে ডাং মাইর করে এবং বাড়ীর লোকজনদের মিথ্যা মামলায় ফাসাইবে বলিয়া হুমকি প্রদর্শন করে। বর্তমানে আমরা পরিবারের সবাই বাড়ী ছাড়া। বাড়ীতে থাকতে পারি না, বাড়ীতে গেলে সবাই মিলে ডাং মাইর শুরু করে। মারের ভয়ে আমার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী এবং নাতী সবাই ঢাকায় থাকে। শেষে উপায় না পেয়ে সরকারি আবাসনের ঘরে আশ্রয় নিয়ে কোন রকম ভাবে জীবন পার করছি । হানিফ টাইগার জজ-ব্যারিষ্টার, এমপি-মন্ত্রী কোনটিই নয়, কিন্তু কেউ তার বিচার করতে পারে না ? আমি একজন দেশ স্বাধীন করা সৈনিক হয়ে বাড়ীতে বসবাস করিতে পারি না। প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন মানবিক দিক বিবেচনা করতঃ আমার ও আমার পরিবারের উপর নির্যাতনের বিষয়গুলি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি ।