Breaking News
এপ্রিল ২০, ২০২৫

আওয়ামী লীগের দোসর গণপূর্তের দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী বাশার রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে

স্টাফ রিপোর্টার।।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী শেখ হাসিনার বাসস্থান (সুধাসাদন) ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অনিয়ম দুর্নীতির পূর্বক শত কোটি টাকা উপার্জন করেছেন সেগুন বাগিচা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. “আবুল বাশার।

গত কয়েক বছর ধরে গণপূর্তে গড়ে ওঠা লুটপাট সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা উপসহকারী প্রকৌশলী মো: আবুল বাশার ঢাকার সেগুন বাগিচা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান (সুধাসাদন) ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘরের ইলেকট্রিক্যাল দায়িত্বে ছিলেন।
যেখানে মধু আছে সেখানেই ছুটছেন এই প্রকৌশলী।
গণপূর্তিতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ করেছেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো: আবুল বাশার।

গণপুর্ততে রয়েছে তার নিজস্ব বলয় । তিনি মুকুটবিহীন সম্রাট যা চাইতেন তাই তিনি করতেন এছাড়াও তিনি পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতেন কিন্তু টাকা ছাড়া কোন কাগজে সই করতেন না এই উপসহকারী প্রকৌশলী আবার অনেক সময় ঠিকাদারের কাজ দেয়ার কথা বলে অগ্রিম কমিশনের টাকা নিতেন তিনি। এমন কি কাজ না করেই ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মো.আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।

২০১৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়া মাস পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির বৈদ্যুতিক দায়িত্বে ছিলে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবু বাশার। আ.লীগের ক্ষমতার প্রভা বিস্তার করে এই আবুল বাশার গ্রামের বাড়িতে অন্যের জমি দখলসহ অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ করেছেন। যে ঘটনায় কবাই ইউনিয়নের (কুদ্দুস মিয়া) বাদী হয়ে গত ১২ মার্চ বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ তথা স্পেশাল জয় আদালতে আবুল বাশারসহ ৪ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এছাড়া আবুল বাশারের বিরুদ্ধে জি.আর ২৯৬/২৪ (বাকেরগঞ্জ), মামলার ০৩ নম্বর আসামি ও জি.আর ২৬/২৩ (বাকেরগঞ্জ), মামলার ২ নম্বর আসামি। অবৈধভাবে আবুল বাশর তার বাবার নামে বাকেরগঞ্জের হালুয়া গ্রামে সূর্য ইটভাটা চালু করেন। যেটি বর্তমানে এ. এইচ ব্রিকস নামে পরিচিত। গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। ঢাকায় ৫ তলা ভবন, নামে বেনামে রয়েছে প্লট, নিউ মার্কেট সোনার দোকান সহ নানা ব্যবসার সাথে জড়িত। আবুল বাশার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শাসনামলে ৭নং করাই ইউনিয়ন আ.লীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিং এবং জনসভায় অর্থ দিয়ে সহায়তা করছিলেন। ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এলাকায় এসে আ.লীগের সংসদ সদস্য নৌকা মার্কার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক এর পক্ষে প্রভাব খাটিয়ে ভোট কারচুপিতে সহায়তা করেছিলেন। ৫ আগস্টের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়ে টাকার বিনিময়ে কিছু বিএনপি নেতাদের সাথে সেলফি তুলে নিজেকে বিএনপির কর্মী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আবুল বাশার বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক এ সব চলছে। চাকুরি জীবনে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেই সরকারের নির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।