নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝালকাঠি, নলছিটি উপজেলা, দপদপিয়া ইউনিয়ন, উত্তর জুরকাঠী গ্রামের আজিজ খানের পুত্র-পেশাদার ড্রাইভার ও ভুঁয়া সাংবাদিক খান মাইনউদ্দিনের চাঁদাবাজি, অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
কে এই মইনুদ্দীন?---------------------------
সে উত্তর জুরকাঠী গ্রামের একটি নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনী পাশ করে দরিদ্রতার কারনে তার বাবা বরিশাল শহরে আলম বুক স্টলে ৩০০ টাকা বেতনে চাকরিতে হেটে হেটে সংবাদপত্র বিক্রি করতো। ওই সুবাদে কোন এক স্থানীয় সাংবাদিকের সাথে পায়ে পায়ে হাটার চেষ্টা করে এবং কেঁদে কেটে একটি কার্ডও অর্থের বিনিময়ে বানিয়ে নেয়। এ কার্ডটি ব্যাবহার করে সাংবাদিকতা নামের পবিত্র পেশাটাকে ধীরে কলঙ্কিত করতে থাকে। এমন কোন অন্যায় কাজ নেই যে করে না গাঁজা স্পট, ইয়াবা স্পট, জুয়া স্পট, আবাসিক হোটেল স্পট, জেলায়, উপজেলায় সকল সরকারী ডিপার্টমেন্ট গুলোকে উৎপিরন করতে থাকে, এমন কি বিত্তবান পরিবারগুলোর কাছ থেকে ব্লাকমেল করে টাকা কামায়। এখানেই শেষ নয় কথিত আছে গরুচুরি, মুরগী চুরি, বদনা চোরদের কাছ থেকেও চুরির ভাগা নেয় অপরাধের এমন কোন কর্ম নেই মঈনুদ্দীন করে না। এ সব করে এখন সৎ সাংবাদিকদেরও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এমনকি যার পারিবারিক অবস্থানে সাইকেল চালাতে পারার কথা নয় অথচ তার একছে এক নতুন নতুন বাইক। এই মইনুদ্দীনের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির হাজারো অভিযোগ, অজস্র মামলা। প্রশাসনও কোনো ভ্রুখেপ করছে না। অথচ এই মইনুদ্দীনের বিরুদ্ধে জন্মদাতা পিতা- মাতাকে প্রহারের কথাও এলাকায় সবার মুখে মুখে।
কিছু দিন সাংবাদিকতা করে বরিশাল শহরে একাধিকবার গণধোলাইয়ের শিকারও হয়ে, ঢাকায় পারি জমায়, ঢাকায় গিয়ে নারায়ণগঞ্জে একটি কম্পানিতে, কভারভ্যান গারির ড্রাইভার হিসেবে চাকরি নেয় ২ বছর চাকরি করার পরে সেখান থেকে চুরি করার অপরাধে চাকরি চলে যায়,আবার আগের পেশায় চলে আসে।
মইনুদ্দীন বর্তমানে ঢাকার একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করে, নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত দেয়, তিনি উত্তর জুরকাঠী গ্রামের আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দপ্তরী নিয়োগের বিষয়ে ৫০,০০০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার নামে চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ, এছাড়াও কিছু দিন আগে নিজ বাড়ির উপর, মোঃ কবির হাওলাদারের মেয়েকে কু'প্রস্তাব দেয়ায় জুতা দিয়ে পিটিয়ে নলছিটি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়, এক রাত একদিন গারদ খেটে বাদীর হাত পা ধরে, আর কোনদিন এ'ধরনের কাজ করবে না শর্তে মুসলেকা দিয়ে মুক্তি পায়। একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দপদপিয়া ইউনিয়নের ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মহিলা মেম্বার কর্তৃক চাঁদাবাজির মামলায় সাক্ষি দেওয়ায় তার পিছনে উঠে পরে লাগে তিনি মইন। ২৭/৫/২০২০ তারিখে বরিশাল রুপাতলী অগ্রনী ব্যাংকে মহিলা মেম্বার সহ কয়েকজন মেম্বার মহিলা পুরুষ প্রতিবন্ধীদের ভাতা উত্তলন করতে গেলে মহিলা মেম্বার ও প্রদানকারীদের কাছে চাঁদা দাবি করে ও ঝামেলা সৃষ্টি করে। ঐ'সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ র্যাব ৮ এর সহযোগিতা নিয়ে তাকে ব্যাংক থেকে বাহিরে বের করে দেন। প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করে যাবার পথে প্রতিবন্দকতার সৃষ্টি করে। বাঁধা হয়ে দাঁড়িয় বলে টাকা না দিলে কার্ড বাতিল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
ভুক্তভোগী হলেন সাফিয়া বেগম, মনোয়ারা বেগম, বশির মূধা জুরকাঠী ও উঃ জুরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা, বিষয়টি আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করলে সাংবাদিক ওরফে হকার মাইনউদ্দিনকে ধরে গণধোলাই দেন এলাকাবাসী, কৌশলে হকার মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, তোপের মুখে পড়ে তার বাবা এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন নলছিটি থানা পুলিশের সহায়তায় তার বাবা আব্দুল আজিজ খান কে উদ্ধার করেন।
সামাজিক গণমাধ্যমে ভুয়া (ফেক) আইডি দিয়ে এলাকার, চেয়ারম্যান, মেম্বর, সমাজ সেবক, নারী- পুরুষ, শিক্ষক, ছাত্র, জন প্রতিনীধী, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বয়স্ক মুরুব্বিয়ান, সাধক, আলেম, সাধক এভাবে সবার বিরুদ্ধেই নানা প্রকার ফেক আইডি দিয়ে সাইবার ক্রাইম করে চলছে। তবু পুলিশ, Rab, ডিবি, এসবি, পিবিআই নীরব। জানা নেই এর মুল রহস্যটা কোথায় লুকিয়ে আছে। এসবের একটা সুরাহা দরকার।
এর একাধিক অপকর্মের সরাহা করতে এলাকাবাসী ও পুলিশ মিমাংসার জন্য দ্বায়িত্ব দেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে পরে তারা সালিশ বৈঠক করে মিমাংসা করেন। তার একটি ঘটনার প্রমান সে সময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ কামরুল মূধা, হেমায়েত হোসেন ফজলু মেম্বার, আলম মাস্টার, আবু ড্রাইভার রানা শাহিন সিকদার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী জানায় সে আসলে সাংবাদিক নামের একজন সাইবার অপরাধী তার রয়েছে বিভিন্ন নামে একাধিক ফেক আইডি, এক সময়ের দপদপিয়া ইউনিয়নের বহু আলোচিত ফেক আইডির এডমিন ছিলন তিনি যার-ধারা এলাকার গন্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ কোন ব্যক্তি বাদ নেই তার ওই আইডির হয়রানির শিকার থেকে, নলছিটি থানার অনেক গুলো জিডিও হয়ে ছিলো ওই আইডির বিরুদ্ধে, এলাকাবাসী আরো জানান মানুষের নামে অহেতুক অভিযোগ এনে চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে এফবিতে পোস্ট করে, আবার টাকার বিনিময়ে পোস্ট ডিলিট করে, আর টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ধারাবাহিক মিথ্যা প্রচারণা।
এ প্রতিবেদন কালে এই ধরনের ভূয়া ও চাঁদাবাজ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই ভূয়া সাংবাদিকের অত্যাচার থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি চায়, প্রকৃত সাংবাদিকের ও প্রশাসনের সু'দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, স্থানীয় প্রসাশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের জনগনের সহায়তা প্রত্যাশার কথা জানান নলছিটি ও ৯নং দপদপিয়া ইউনিয়নের জনগণ।