
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ১৭ মার্চ দুপুর ২ টায় মৎস্য ব্যাবসায়ী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে। এসময় সংবাদ সম্মেলন উল্লেখ করেন যে গত ১লা মার্চ তারিখে গলাচিপা থেকে ঢাকাগামী ডলফিন পরিবহনে ৩১ কার্টুন ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় বাবুগঞ্জ থানাধীন নতুনহাট বাজার বিটে পৌছালে প্রতারক ইমন এর ইন্দোনে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক পরিবহন থামিয়ে ১৮ কার্টুন ইলিশ মাছ নামিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নূরে আলম নামে একজন লোক ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ৪০ হাজার টাকা নূরে আলম এর দুইটি মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা মাছ না দিয়ে তালবাহনা শুরু করেন। এবিষয়টি নিয়ে বাবুগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কার্টুন মাছ উদ্ধার করে। বাকি ৫ কাটুন মাছ উদ্ধার করতে পারেনি।মাছ গুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা। গত ৪ মার্চ তারিখে উক্ত নূরে আলম তার NRBC ব্যাংক থেকে প্রতারক ইমনকে ১ লাখ টাকা গলাচিপা পূবালী ব্যাংকের শাখায় পাঠায়।এতথ্য পাওয়ার পরে উক্ত বিষয় নিয়ে প্রতারক ইমনকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে নানান রকমের তালবাহনা শুরু করেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে। এনিয়ে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীরা গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত থাকেন উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ চুন্নু মৃধা, মৎস্য ব্যাবসায়ী কুদ্দুস মুন্সি, হেলাল সিকদার,রহমান খলিফা,বশির হাওলাদার বাচ্চু হাওলাদার, মামুন সহ আরো অনেকে। এছাড়াও প্রতারক ইমন প্যাদা ক্যাসিনো ব্যাবসায় জড়িত আছে এমন অভিযোগপ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বহু টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় বলেও জানান সংবাদ সম্মেলনে। এবিষয়ে প্রতারক ইমন প্যাদাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শান্তির দাবি করেন মৎস্য ব্যাবসায়ীরা।