
মো:মাইনুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুবিধাবঞ্চিত এলাকা কুড়িগ্রাম জেলায় বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প সহ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে । ২০১০ সালে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা সহ প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নত ও লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে । এ প্রকল্পের আওতায় মুরগি পালন প্যাকেজে ৬২২৪ জন, হাঁস পালন প্যাকেজে ৩০৮০ জন, ছাগল পালন প্যাকেজে ১৫৫৭ জন, পাঠা পালন প্যাকেজে ১৫৩ জন, ভেড়া পালন প্যাকেজে ১৫৫৭ জন, বকনা পাপন প্যাকেজে ৬০০ জন, কবুতর পালন প্যাকেজে ৬০ জন, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট প্যাকেজে ৬০ জন, ঘাস চাষ প্রদর্শনী ৪৫ জন ও সাইলেজ প্রদর্শনী ৪৫ জনসহ মোট ১৩,২৯১ জন সুফলভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। ৬২২৪ জন মুরগি পালন প্যাকেজের সুফলভোগীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৫২ জনকে ১৫ টি করে মোট ১২৭৮০ টি মুরগি প্রদান এবং ৮৫৯ টি মুরগির বাসস্থান বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। হাঁস পালন প্যাকেজের ৩০৮০ জন সুফলভোগীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৯ জনকে ১৫ টি করে মোট ২০৮৫ টি হাঁস প্রদান এবং ৫১৩ টি হাঁসের বাসস্থান বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ছাগল পালন প্যাকেজের ১৫৫৭ জন সুফলভোগীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৮৩ জনকে ০২ টি করে ১৩৬৬ টি ছাগল প্রদান এবং ১০৩৮ টি ছাগলের বাসস্থান বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পাঠা পালন প্যাকেজের ১৫৩ জন সুফলভোগীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ০৯ জনকে ০২ টি করে ১৮ টি পাঠা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
ভেড়া পালন প্যাকেজের ১৫৫৭ জন সুফলভোগীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮৩ জনকে ০৩ টি করে মোট ২৬৪৯ টি ভেড়া প্রদান এবং ৯৭৯ টি ভেড়ার বাসস্থান বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বকনা পালন প্যাকেজের ৬০০ জন সুফলভোগীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬৮ জনকে ০১ টি করে ১৬৮ টি বকনা প্রদান এবং ১০৩৮ টি ছাগলের বাসস্থান বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ঘাস চাষ প্যাকেজের আওতায় ৪৫ টি উন্নত জাতের ঘাসের প্রদর্শনী প্লট ৪৫ টি সাইলেজ প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে কুড়িগ্রাম জেলায় স্থানীয় খামারীদের সাথে যোগাযোগ করে ন্যায্য মূল্যে গাভীর দুধ ও মুরগির ডিম ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয় করা হচ্ছে।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান জানায় , স্থানীয় পর্যায়ে খামারীদের সাথে আলোচনা করে খামারিদের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাস ব্যাপী বাজারে ন্যায্য মূল্যে গাভীর দুধ ও ডিম বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলে সরকারের গৃহীত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র পরিবারগুলো।