Breaking News
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

কৃষকের সবজি গাছ কেটে ফেলার কারণে থানায় অভিযোগ,

মোঃ মাইনুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

উলিপুর উপজেলার পাঁচ পীর বাজার থেকে ১০০ গজ দূরে গাছের পাতা জমিতে পড়ে আবাদ নষ্ট হওয়ার অজুহাতে দিলবর নামে এক কৃষকের বিভিন্ন ধরণের সবজি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বুধবার (১৪ জানুয়ারি) মোঃ নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি দুপুরের পর প্রায় ৫০ হাজার টাকার ফসল নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষক মোঃ দিলবর মিয়া।

কৃষক দিলবর মিয়া জানান, নদীর পশ্চিম পাশের এলাকায় সরকারি জমি ঘেরে সবজি চাষ করতেন ৩ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গায় আমি সহ কয়েকজন কৃষক। গত বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খনন করেন। খননের পর থেকে মৎস্য ঘের সংলগ্ন নদীর তীরে কৃষকরা নানা রকম সবজির আবাদ করতেন।

অর্থ বছরে এই নদীর পাড়ে কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করে কৃষকেরা। বনায়নের পরেও সামাজিক বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৫ কিলোমিটার বাঁধের উপর স্থানীয় কৃষকরা ঢেঁড়স, লাউ, করল্লা, ডাটা, বরবটি, লাফা, সিম, আলু, পিয়াজ, রসুন ,ধুন্দলসহ নানা ধরণের সবজি চাষ করেন।

নদীর গড়ে সবজি চাষের অনুমতি পেয়েছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম বলতে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, বন বিভাগের অনুমতি নেয়া হবে কিন্তু নিজেদের মতো নদীর তীরে ঢেঁড়স, লাউ, করল্লা, ডাটা, বরবটি, লাফা, সিম, আলু, পিয়াজ, রসুন, ধুন্দলসহ নানা ধরনের সবজি লাগিয়েছিলাম। কিন্তু জমি রক্ষার অজুহাতে মোঃ টুংরু মিয়ার ছেলে মোঃ নজরুল মিয়া ও তার লোকজন আমাদের গাছগুলো কেটে ফেলেছেন।

আমরা যাতে সবজি এবং ঘেরে মাছ চাষ না করতে পারি এজন্য তারা এটা করেছে। আমরা এর ক্ষতিপূরণ চাই।

রঞ্জিনা বেগম নামের এক নারী কৃষক বলেন, সবজি লাগিয়ে কিছু আয় করতাম। কিন্তু নজরুল তা সহ্য হয়নি। এ কারণেই তারা আমাদের সবজি গাছ কেটে ফেলেছে।মোঃ মিলন নামের এক কৃষক বলেন, বেশিরভাগ গাছে ফুল এসেছিল। ফলও হয়েছিল কিছু গাছে। কিন্তু সব গাছ কেটে শেষ করে দিয়েছে। এতে কৃষকের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

নজরুল সরদার ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, ফলন্ত গাছ কাটায় যে কষ্ট পেয়েছি, আমার গলা কেটে ফেললেও এত কষ্ট পেতাম না।

ঈমান নামের আরেক ব্যক্তি বলেন,নানা রকমের সবজি লাগিয়েছে ফলজ ও বনজ গাছ। তাদের সবজি গাছ তাদের জমির কোনও ক্ষতি করেনি। কিন্তু এদের গাছ কাটল কেন আমি জানিনা। এছাড়া, বন বিভাগ তো তাদের সবজি চাষ করতে নিষেধ করেনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম সাঈদ এর সঙ্গে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তা ফোন রিসিভ করেননি তাই তার বক্তব্য নেওয়া হয়নি।গাছ কাটায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তদন্তপূর্বক দোষীদের বের করে শাস্তি এবং কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি কৃষকের।

এ বিষয়ে তিন নং ওয়ার্ড এর মেম্বার মোঃ আমিনুর ইসলাম বলেন,সবজি গাছ কাটার খবর পেয়েছি। দুপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।