Breaking News
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

উলিপুরে মন্দিরের মূর্তির ভাঙচুর

মোঃ মাইনুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা সরকার পাড়া কালী মন্দিরের পাঁচটি মূর্তি ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।শনিবার সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন মন্দির কমিটির লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উলিপুর থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান এবং এসআই আনিস সহ তার পুলিশ সদস্যরা। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্দমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন তারা।

জানা গেছে, শনিবার রাতে আসন্ন কালী পুজা উপলক্ষে কালী মন্দিরের সামনে কাদা মাটি দিয়ে মন্দিরের কিছু বানানোর কাজ করছিলেন মন্দির কমিটির লোকজন। বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার দিকে মন্দিরের গেটে তালা দিয়ে বাড়িতে যান সবাই। এরপরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাখাল নামের এক ব্যক্তি মন্দির এর সামন দিয়ে গেলে দেখেন যে মন্দিরের বাহিরে থাকা মহাদেবসহ কয়েকটি মূর্তি ভাঙচুর করা দেখে স্থানীয় কয়েকজনকে ডাক দেন ওই সময় স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উলিপুর থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান এসআই আনিস, ৩ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম সাঈদ ,ডাক্তার মোঃ আব্দুল কাদের শামীম বিএনপি সভাপতি বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন শাখা,মোঃ শহিদুর রহমান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনতার বাজার। মোঃ হায়দার আলী সাবেক বিএনপির সভাপতি দুর্গাপুর ইউনিয়ন শাখা,পূজা উদযাপন এর সভাপতি নিতাই লাল সরকার, সহ ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আনিছুর মিয়া। এবং বিএনপি’র বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন এবং দুর্গাপুর ইউনিয়ন শাখার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহ আরো অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।

যমুনা সরকার পাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি নিতাই লাল সরকার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়েও এই মন্দিরসহ আমাদের এলাকায় পূজার্চনা চলেছে। আমাদের এলাকায় কখনোই মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। মন্দির কমিটির লোকজন জানিয়েছে ওই মন্দিরে একটি সিসি ক্যামেরা ছিল এবং সেটির নিয়ন্ত্রণ সৌরভ নামের এক হিন্দু যুবকের কাছে ছিল। বর্তমেনে সিসি ক্যামেরাটি মিসিং রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে এবং সাধারণ হিন্দুরের মনোবল ভাঙতে দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।যাতে আগামীতে দূর্গা পুজা করার সময় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই আমি আমার এলাকার পক্ষ থেকে এর সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি।

উলিপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান। এবং মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করার কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।