Breaking News
জুলাই ২২, ২০২৫

৩ সন্তানের মাকে নিয়ে উধাও ৪ সন্তানের বাবা

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছোট ছোট ৩ সন্তান রেখে তাদের মাকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে অপর ৪ সন্তানের বাবা। গত ৭ অক্টোবর রাতে তারা তাদের নিজ নিজ সংসার ছেড়ে পরকীয়ার টানে উধাও হয়ে যায়।

এমন যুগল জুটি হলেন সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পূর্ব গোয়াখালী এলাকার মৃত জালাল আহমেদের পুত্র ৪ সন্তানের পিতা সিএনজি রিকশাচালক মোহাম্মদ আলম প্রকাশ দুদু (৪৩) ও শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার প্রবাসী ইউসুফের স্ত্রী ও দক্ষিণ বাঘগুজারার গুরা মিয়ার মেয়ে তিন সন্তানের মা সেলিনা আক্তার (৩৪)।

ওই প্রেমিক জুটি ঘর ছেড়ে অন্যত্র সিএনজি রিকশাযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুজনের ছবি তুলে মোহাম্মদ আলমের টিকটক আইডিতে পোস্ট করে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় দুই এলাকার লোকজনের মাঝে হাসির খোরাক জন্ম দিয়েছে।

এদিকে রোববার (২০ অক্টোবর) তাদের পরকীয়ার বিষয়ে ও স্বামী উধাও হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলমের স্ত্রী দিলরুবা আফরোজ জানান, গত ২০০৪ সালের ৯ জুলাই ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক কাবিননামামূলে মোহাম্মদ আলমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়।

তিনি আরও বলেন, এ সংসারে তার কোলজুড়ে আসে ৩ পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। সম্প্রতি মোহাম্মদ আলম আমার ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে আমাকে জ্বালাপোড়া ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। সংসারের সুখের আশায় পৈতৃক জমি বিক্রি করে ৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও একটি সিএনজি অটোরিকশা কিনে দেই। কয়েক বছর সুখের সংসার হলেও গত ২০২৩ সালের শেষে দিকে আবারও সেলিনার সঙ্গে পরকীয়া শুরু করে। এতে বাধা দিলে আমাকে নির্যাতন করে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ করে দেয়। পরে পুনরায় সংসার করি।

তিনি বলেন, আলমের বড় বোন স্বামী পরিত্যক্তা মনোয়ারা বেগমের যোগসাজশে সেলিনা আক্তারের সঙ্গে আলমের অবৈধ সম্পর্ক গভীর করে তোলে। আমি এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে নির্যাতন করে আহত করে। আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। এ ঘটনা নিয়ে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দেই। সেই অভিযোগে তারা সাড়া দেয়নি। তাদের অবৈধ সম্পর্ক আরও গভীর করে ভালোবাসা পূর্ণরূপ দিতে উধাও হয়ে যায় তারা।

এ নিয়ে গত ১৪ অক্টোবর আমি বাদী হয়ে মোহাম্মদ আলম, সেলিনা আক্তার ও মনোয়ারা বেগমকে বিবাদী করে পেকুয়া সেনা ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করি।

এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে তার স্ত্রী ৩ সন্তানকে ফেলে অন্য একজন ৪ সন্তানের জনকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে পালিয়ে যাওয়া খুব দুঃখজনক। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *