মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোররাত ৫ টার দিকে পানপট্টি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির পাশে ঘটনাটি ঘটে। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মিলন হাওলাদার (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর (২৫), তাদের পিতা আব্দুল খালেক (৫৫), মাতা মনোয়ারা বেগম (৫০) ও দুই চাচা মো. বাহাদুর (৪৫) ও আব্দুর রাজ্জাক (৬০)। তাদের বাড়ি পানপট্টি ও চরখালী গ্রামে। এছাড়া অপরপক্ষের আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মো. নাসির হাওলাদার (৪৫), মো. গিয়াস উদ্দিন (৪২), মো. রিয়াজ (৩২) ও নান্নু মাতব্বর (৬০)। তাদের সকলের বাড়ি পানপট্টি। এ ঘটনায় আব্দুল খালেক বাদি হয়ে গলাচিপা থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানপট্টি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির পাশে ১০ কড়া জমি নিয়ে আ. খালেক এর বিরোধ চলছে পানপট্টি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শানু হাওলাদারের পুত্রদের সঙ্গে। এ বিরোধ প্রায় ১০ বছর ধরে চলছে। বিরোধ সমাধানে স্থানীয় পর্যায়ে অসংখ্য বার সালিশি বৈঠক এবং আদালতে মামলা হয়েছে। এই বিরোধ চলমান থাকা অবস্থায় রোববার জমির দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ আহত হয়ে দু’পক্ষই হাসপাতালে ভর্তি। এসময় উভয়পক্ষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় দুই পক্ষের মোট ১০ জন আহত হয়ে ভর্তি আছেন। কারো মাথায় ব্যান্ডেজ, কারো হাতে, পায়ে ব্যান্ডেজ। আবার কারো শরীরে কাটা দাগ, শরীরের বিভিন্ন অংশ নীলা ফুলা জখম।
এ বিষয়ে নাসির হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের জমির সকল কাগজপত্র আছে। আব্দুল খালেক হাওলাদার এর বাবা ছত্তার হাওলাদার প্রায় ৩০ বছর আগে সব জমি বিক্রি করে দলিল দিয়ে গেছে। সেই জমি ক্রয় করে আমার বাবা শানু হাওলাদার। তার নামে বিএস জরিপে রেকর্ড আছে, দলিল আছে। তারা আমাদের ভোগদখলীয় জমিতে জোর করে ঘর উঠাতে গেলে সেখানে বাঁধা দিলে এই সংঘর্ষ হয়’।
মিলন হাওলাদার বলেন, ‘আমার দাদা ছত্তার হাওলাদারকে ভুল বুঝিয়ে শানু হাওলাদার জমি লিখে নিয়ে গেছে। কিন্তু সব জমি লিখে নিতে পারেনি সেই জমি আমরা দখল চাই। আমাদের প্রাপ্য জমি তারা জোর করে দখল করে রেখেছে। কাগজপত্র দেখে সার্ভেয়াররা বলছে জমি পাবো আমরা’।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুবায়ের খা বলেন, মারামারির ঘটনা শুনেছি। জানা মতে আ. খালেক হাওলাদার ওই বাড়িতে জমি পাবে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান জানান, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।